শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬

হোচপানার লামা

হোচপানা লামা
------------

উড়ি পাত্তুঙ্ পেগ' ধক্।
ভুঙিঁ পোত্তুঙ্গি মুজুঙঁত্।
যুনি পাত্তুঙ্ রুক্ ধুরি।
পত্তাপুত্তি সান্ গুরি।

মুজুঙেঁ মুজুঙেঁ উড়িদুঙ্।
নানান্ নাগর ভাচ্ মাধিদুঙ্।
হুলি হো পাত্তুঙ্ মন্ হধা।
জুরেলুন্ পারাপাং মনপাদা।

সিনে কিজিঙঁত্ সাঙেঁত্ ওই।
কাজিজুন্ পহরত্ ডাগত্ বোই।
আঝি লগে জয়জয়ার।
দুঘোত্ ও পাত্তুঙ্ সংসমার।

সুঘে-দুগে সপ্পানত্।
জুরি থে পাত্তুঙ্ মনানত্।
পুরেলুন্ পারাপাং মন্ আজাহ্।
ওকনাহ্ মর ছন'ছিনি পেক্ বাজাহ্।
-------------------*-**---
২৮.১০.২০১৬ইং

বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬

তুই নেই কেনেত্যেয়.....

"তুই নেই কেনেত্যেয়"
----------------

মুই নেই ম' কায়।
   ভঙ'ঙর গায় গায়।
        ধুব্ ধুব্ মেঘ' ছেরে।
থাহর নেই মুরে মুরে,
    ডাঙাঁ যার এ বুক্কো!
         ন' জুরোর ন' জুরোর।
পরানি, তুই নেই কেনেত্যেয়!

আজাহ্ এল্ সাঙেঁত্ অবে।
    ধোই পানি কুলোত্ লবে।
         সিধেন্ দিনেই ত' করত্।
কাদি মাস্যা জুন্ পহরত্।
     হোচপানার গঙাঁরত্।
           ভাজি যেম্ আওজে।
ন' ওল্ ন' ওল্ ভাজি যানা।
     ইয়েন্ হি তর হোচপানা?
         কদক্ আর দুঘোত্ থবে!
----------------*****---
২৬.১০.২০১৬
ফটোঃ- নেট থেকে।

রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬

ন' ঘুরের চরগাহ্!

"ন' ঘুরের চরগা"
-------------

ঘুচ্যে সুধো পাদারত্।
মিজেল্ নুন্ বাজারত্।
কিরিঙ্ কিরিঙ্ আমিলা ঝুল্।
দেঘা যায়দি তিগিনি চুল্।

বাপ্ চোধুরী পুত্ কাত্।
সে দেজত্ ন' মিলে ভাত্।
বাবর ন' ফুরোয় দজ'র কাম্।
পুওবোর আমিজে, হুনদি গান্?

বাব'র লাক্ পুদে নেই।
মায় মরের আভিলেশ্ খেই!
আরগাত্তুন্ দারগাহ্!
ন' ঘুরের চরগাহ্!
---------------
২৪.১০.২০১৬ইং

বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

মিলেছ' বাবর নিয়েলজি ভাবনা...

চুক্তির উনোজ বজর পুর্তি মুজুঙোঁত্ রাগেই "কুরুম" দ্বি পোইদ্যেত্তে (২য় প্রকাশনাত্তে) মর নকভাজ গুচ্ছে (নির্বাচিত) কবিতা।

"মিলেছ' বাবর নিয়েলজি ভাবনা"
---------------------------

উরঘুমো ঘুমোত্তুন্ আদেক্যা গুরি জাগি,
   মিলেছ' বাবে ভাবের ভাবনা ;
ইক্কে আমি হুধু আঘি?
জাগাত্ তিন্ চুলুম্ ধুন্দো হেই,
   ন' পারিল' ঘুম্ যেই।
ন' মাধি, ন' বুলি......
বানাহ্ আঘে রিনি চে,
    কেনে উদের চেরাগর ছ' কালি!

ভধঙ' উজু দনদমা কত্তমান্ কালা ওল্!
ছরবুদি আন্নোয়ানি কদক্কানি ঝুড়িপোল্!
   এক্ আধ্ সিধেন্ দিই,
   এক্ আধ্ কবাল' উজু!
বড় ছড়া থুমর মিলেছ' বাবে,
হোন্ডে ন' পাচ্যে সংসারর কধা ভাবে!

সিধেসিধি দুখকামী তে,
    লাম্বা লেকচার, রাজনীতি ফাজনীতি ন' বুঝে।
টানিলেও তা বাধি নাক্কো তার লাম্বা ন' অব',
ডিঙিঁত্ ডুবিলেও যে এ্যেরানি এগত্তর অধ' নয়,
    ইয়েনি তে দোলে দালে বুঝে।

জে এস এস অত্ত' তে হবর ন' পায়।
   পেনেই অ' তার কি লাভ।
তে চিনে শান্দিবাহিনী। জাদর লুড়ো,
   পাচ্ আত্যের বান্ধা সোনা মানেক্কুন্!
ভালক্ বজর আঘে,
   যেক্কে বড় ছড়া থুমোত্ ব্যেরাক্ এল'।
   তা' ঘরান্ ও পি বানেওন্।
অকতত্ বে অকতত্ কদ' মানজ্যোরে,
    রাহনি-বাহরি খাবেয়্যে।

মিলেছ' মারে আমিজে বোঝায়,
যে ভেইয়ুনে মা-বোন্ ছারি,
আগন্দি পরানান্ এককুরে গুরি।
   আমি যুনি তারারে
      ন' রাগেই আড়ে আড়ে।
তারা হুদু থেবাক্?
ও তারা কাত্যেয় মত্তন্ কধে?

জুমোর পাগানা চিন্দ্রা, মাম্রা ;
বাবুদাগি খে পেলাক্ না ন' পেলাক্।
বড় বাবুবো কমলে এব' চে.......
নুয়ো ধানর ভাত্ আক্ গুরি ;
ভালকদিন্ অল' চোল্ চারিত্ পুড়ি।
খেদং,আনুনি-নুনজো, লাদাপাদা......
ইক্কে এ্যবল্ ঈদোত্ উদের কদ' কধা!

জেত্ মাস্যার পাগানা রোদ্,
     আজারর ঘুর বারিজাত্।
       মাঘর সন্ মজ্যা জারত্!
উতারা এত্তন্ ক'লে........
   কন্ পঝা কুনদি থোই,
   চুধো চুধো পরানান্দোই।
ঝাড়্-জঙল্ মোয়েঁ ধাবা দেনা!
কদক্ রেত্ ঘুম্ নেই,
     কদক্ ছাজ্ উবোস্ থানা!

পানি সাজে ধুরিলে,
     কলাগাজর বুগুলিক্ চাবে চাবে,
এলুনি হেলুনি উদো ন' পিয়া,
   নুও সুদিন্ মাধানর কধা ভাবানা!
যেদিঞ্যাঁ বানাহ্ আমি আমি।
    এ দেজত্ রাজা! এদেজত্ প্রজা!
খেবার দেবার চিদে নেই,
    হোচ্ পা পিই বেগে মিলিঝুলি দলামজা!

এন্ অকতত্ মিলেছ' মায় ডাগে.....
    যিয়ন্দোই যিয়ন্ দ ই ই ঈ....
র' শুনি ভাবনার রেজ্যত্তুন্ ফিরে মিলেছ' বাবে।
   রিনি চায়,  পেঠ্ লেহলেচ্যা!    
     কদক্ খেব' বড়াগুলো রস্ চাবে চাবে।

মিলেছ' মার এদক্ ভাবনার লালচ্ নেই!
   সুঘোর কধাও ন' ভাবে,
    দুঘোর্ কধাও ন' ভাবে।
তে ভাবে বে অকতত্ রাহনি-বাহরি খাবানা আ,
    ঢেব' থেব' দিনুন্ কমলে ফুরেবাক্!

ঘর পুড়ি গেল্! ছত্র সাঙ্গ ওল্!
    নুও গুরি সাজে তুলি হুমবিক্ ন' খেই।
মরন্ ভেই মারন্!
   মায় মারের নেনাহ্ বাবে মারের!
সেদুক্যা মের খেই এল' দ্বি-এক্ বার।
    বুক্ চিগুত্! ধাক্ চিগুত্! অহদ্ উয়ে,
        চবাশালত্ নেজেবার!

চুক্তি ওল্। শান্দিচুক্তি ভেলে!
   চের দপা নে পাচ্ দপা,
মিলেছ' বাবে উদিজ্ ন' পায়।
        আন্দাজে উদিজ্ গুরি হিয়েচ্ গরে,
   এবারত্ যুনি সুদিন্ মাধান্ ন' এজে...
       সালে আর এধ' নয়!!!

এজ' তার ভেরাক্ ভেরাক্ মনত্ আঘে,
চুক্তি ওই বাবুদাগিলোই ফারক্ অদে....
    চেরাং চেরাং চোঘোপানি!
তুও, ডাঙঁর এক্কান্ আঝা এল'...
  এবার দেঘাযোক্ সালে,
বাজারত্ গেলে বুচ্যা আঙুলো মাধালোই,
     নাক্ অজল্, বুগোপাদালোই,
বেড়েম্মোই কিয়ে ধুলে ধুলে।

বাজারত্ ন' অলেও খালহুলে,
    এক্কান্ দোল্ ঘর বানেম্।
সেক্কে মিলেছ' মারে কোম্,
দেঘছ......
   মর কধানি ধত্তেদ' তর কিয়া পিড়া গরে!
       এই সুক্কানি কাত্যে???
মিলেছ' মা মু চিমে চিমে আঝিব'।
  চিগোন্ নাদিন্নো মুজুঙোঁত্ ফালুক্ ফালুক্ নাজিব'।
    এ স্ববনানি পালেল' ভালক্ বজর।
চিগিৎসা অভাবে সে নাদিন্নো মুরি যিয়ে!
      কদক্ বেক্কুনোর ননিয়ে, আওজর!

ইক্কে আগ' বল্ নেই, আগ' আওচ্ও নেই।
  চাহদে চাদে উনিশচো বজর বিদি গেল্।
     উদিজ্ ন' পিয়া নানাগান্ কধা শুনে।
তে ন' বুঝে ইউপিডিএফ হন্যাঁ!
তে ন' বুঝে জেএসএস হন্যাঁ!
তে ন' বুঝে সংস্কার হন্যাঁ!
বানাহ্  ভাবে,
এন্ অকতত্ ত' তে ইদু থেবার কধা নয়!
    বিল্ডিং ন' অলেও বাত্তি মাজ্যে,
    কারেন্ড' পহরত্ থেবার কধা।
কুত্তুন্ কি ওল্, কোই ন' পাজ্যে।
    ওলোত্ পালোত্ গদা!

তে ইক্কে ভাবে শান্দিচুক্তি কাত্যে?
   "পেজা হুল্ হুলোয়,"
   " হোড়োল্যা সনাত্তুক্ পায়"।
আ ন' অলে আমা নাঙেঁ কুরোপিড়ে এচ্যে পারা।
তারায় আমিজে বিঝুত্ বেড়ান্ পারা।
   বাঙাঁমোচ্যে পিজেন্দি বুগি,
আন'লে আজা আচ্যা গুরি,
     মোবাইলত্ গান্ শুনি শুনি,
       হুরোহুজ্যে গুরি।

চোঘ্ তন্ তনায় পা, আদামে আদামে,
     ননিয়ে ননিয়ে কধা কোই কোই।
তারা ভিলে বেগর বন্ধু.....
    সুঘে-দুগে বিপদত্ পলে....
তারা ইদু যেবার কন্।
আধ্ বাভে হেণ্ডসিপ গুরি "দোস্ত" ডাগন্।

রাদায় ডাককারের,
     নাদিন্নো ছন্দভাচ্ মাধের।
পহর অয়।
মিলেছ' বাবর ভাবনানি থুম্ ন' অয়।
   চেরাগকো তেলান্ ফুরোয়!
মিলেছ' বাবে ভাবের চে ভাবের,
    যে ভাবনাত্ সাল্লেঙ্ নেই।
যে ভাবনানিত্ বঃনিঝাস্, ধুন্দুক্, গুলু..জি...
     দুগ্ আঘে সুঘ্ নেই!!!
------------------------****
২১/১০/২০১৬ইং

চিঠি

আজ হতে ২৬বছর আগের চিঠি।
তখন আমি দশম শ্রনীতে। মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় উড়ন্ত এক কিশোর। আকাশ ছোয়াবার রঙিন স্বপ্ন। কিন্তু বাস্তবতা বড়ই প্রতিকুল। আজ শুধু স্মৃতি।
-------------------------**

স্নেহের                                   মরাচেঙ্গী১৪/৮/৮৯
    আলোময়,
            আমার স্নেহাশীষ নিও। ভাল আছ তো? আমিও তাই বলে জেনো। তোমার পাঠানো খাতা সহ চিঠিটি পেয়েছি যথা সময়ে। তোমার সাহিত্য প্রতিভা সত্যি স্ব-জাতি ও স্ব-সংস্কৃতির প্রীতির দাবী রাখে। শিশুশ্রেণী থেকে বেজাতি ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে আমরা ওতপৌরত জড়িত। ফলে আমাদের শিক্ষার্থী বা শিক্ষিতরা পর সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে কোনো একটা জাতি বা সম্প্রদায়কে ধ্বংস করতে হলে আগে গলা টিপে ধরতে হবে সেই জাতির সংস্কৃতির উপর। একজন বোবা লোককে যেমন তীব্র আঘাত করলেও সে ব্যাথার কথা উচ্চ স্বরে অন্যকে জানাতে পারবেনা বা প্রতিবাদি কন্ঠ জোরদার করতে পারবেনা, তেমনি কোনো একটা জাতির সংস্কৃতি বা ভাষাকে যখন তিলে তিলে ধ্বংস করা হবে তখন তাকে আঘাত করলেও সে আর চিৎকার করে কিছু বলতে পারবেনা। তখন তার ধ্বংস ছারা আর গত্যন্তর থাকবেনা।

    এ ক্ষেত্রে মধ্য জাপানের একটি সংখ্যা লঘু জাতির কথা মনে পড়ছে। সে সংখ্যা লঘু জাতিটির কথা বর্তমান দুনিয়ায় ক'টি মানুষই বা জানে? কেননা সেই জাতির বিরুদ্ধে কেহ যুদ্ধও করেনি তারাও কোনো প্রতিবাদও করেনি। কিন্তু সে রকম কোনো কথা না থাকলে সেই জাতিটার অস্থিস্ত্ব আমি পেলাম কোথায়? এটা বানোয়াট বা আদৌ মিথ্যা নয়। জাপানীরা সুকৌশলে সেই
২য় পৃষ্টা
-------
জাতির অস্তিস্থ পৃথিবী থেকে বিলোপ করে দিয়েছে। কিন্তু তারা সেটা করলো কি করে? হে তার তত্বে পায় জাপানীরা যুগ যুগ ধরে সেই সংখ্যা লঘু জাতিটির উপর সংস্কৃতি গত শোচন চালিয়েছিল। সেই জাতির সংস্কৃতির উপর জাপানীরা এমনভাবে প্রভাব খাটিয়েছিল যার ফলে সেই জাতির সংস্কৃতি ক্রমান্বয়ে ধ্বংসে পর্যবসিত হয়। সংস্কৃতি ধ্বংস হওয়া মানেই জাতির কন্ঠ রুদ্ধ হওয়া, বিলুপ্ত হওয়া। আর তাদের অবস্থা হয়েছিল ও তাই। মধ্য জাপানের সেই সংখ্যা লঘু জাতিকে আজ জাপানীরা পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলেছে। তাদের কথা কেউ আর জানেনা। কেউ বাহির জগতে শুনতে পায়নি তাদের কন্ঠ ধ্বনি, তাদের করুন কান্না। কারন তারা কাদঁতে পারেনি চিৎকার করে, কিছুই বলতে পারেনি। কেননা জাপানীরা প্রথমেই সুকৌশলে তাদের গলা টিপে ধরেছিল, অর্থাৎ সংস্কৃতির বিলোপ সাধন করছিল। আজ কারাও জাপানী।
       মনে রাখতে হবে যে, দুর্বলের উপর সবলের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা পৃথিবীব্যাপী। মানুষের আশার যেমনি অন্ত নেই তেমনি পাপ পূর্ণ হৃদয়ের ও দুরাশার নিবৃতি নেই ইতি নেই। যতই কার্য সিদ্ধি ততই দুরাশার শ্রী বৃদ্ধি। কোন একটা সবল জাতিও কোনো একটা ক্ষুদ্র জাতির উপর শুধু প্রভাব বিস্তার করে কান্ত হয়না, সে চায় পুরোপুরি গ্রাস করতে, নিজ জাতীয় শক্তি বৃদ্ধি করতে। আর এই আগ্রাসী মনোভাব
৩য় পৃষ্টা
---------
দুনিয়ার সমস্ত বড় বড় জাতি সমূহের মনে তীব্র ভাবে বিরাজ করছে। তাই ক্ষুদ্র জাতি সত্বা সমূহের সেই আগ্রাসন থেকে মুক্ত থাকার চেস্টা থাকতে হবে। নিজ জাতি সত্বাকে প্রভূত সম্মান দিয়ে তার অস্থিস্ত্ব রক্ষার কাজে ব্রতী হওয়া প্রতিটি চেতনাবান লোকের আদর্শ দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যাচ্ছে যে অল্প শিক্ষিত, উচ্চ শিক্ষিত সবাই অন্য জাতির ভাষা বা সংস্কৃতির প্রতি যতটুকু আসক্ত নিজ ভাষা বা সংস্কৃতির প্রতি ততটুকু সম্পৃক্ত নয়। অন্য জাতির ভাষায় কথা বলতে পারলে তারা নিজেকে গর্বিত মনে করে। কিন্তু স্ব জাতি ভাষা যে সেখানে হামাগুরি খেয়ে মরছে তা ভেবে তারা একটুও লজ্জাবোধ করেনা। সংস্কৃতি যখন লুপ্ত হয়ে যাবে তখন জাতীয় অস্থিস্ত্ব ও যে আর টিকে থাকতে পারবেনা সে কথা আমাদের শিক্ষিত মহল কোন দিন ভাবছে কি? আমাদের এই অসচেতনতা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক নয়।

         প্রিয় আলো, তুমি আমার চেয়ে বয়সে ছোট হলেও তোমার স্বজাতির সাহিত্য প্রতিভা বা সাহিত্য চর্চা বিষয়ে আমি তোমাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারিনা। তোমার রচিত বেশ ক'টি কবিতা আমি পড়েছি।
৪র্থ পৃষ্টা
--------

সেখানে যদিও বা ভাষা এবং বানানগত অনেক ভুল রয়েছে তবুও সেই কবিতা গুলোর মাঝে তোমার স্বজাতি সংস্কৃতির প্রতি যে শ্রদ্ধা ও মমতা মিলেছে তা বলবার নয়। ব্যক্তিগত ভাবে আমারও বেশ কয়েক ডজন স্বরচিত চাকমা কবিতা রয়েছে। শুধু কবিতা নয় বেশ কিছু গান ও একটি অসমাপ্ত নাটকও রয়েছে। কিন্তু কি করি ভাই, জাতিগত ভাবে আমাদের অবস্থানের কথা তোমারও অজানা নয়। আমরা যে যুগ যুগ ধরে অবহেলিত, প্রভাবিত (অন্য জাতি দ্বারা) ও অধঃপতিত তা তোমার নিশ্চয় জানা আছে বলে মনে হয়। জানো তো আমরা অর্থনৈতিক ভাবে জর্জরিত। মোট কথা বলতে গেলে আমরা সবদিকে পশ্চাৎপদ। এই পশ্চাৎপদতা আমাদের জাতীয় অভিশাপ। একটা ৭০/৮০ পৃষ্টা বই ছাপাতে কম করে হলেও ১২/১৪ হাজার টাকার নিতান্তই প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের আর্থিক অবস্থা এতই নড়েবরে যে যেন নুন আনতে পানটা ফুরায়। অর্থনীতিই আমাদের সব অগ্রগতির পথে প্রতি বনন্ধক। এই প্রতি বন্ধকতা যত দিন দূর না হবে অর্থাৎ যত দিন না আমাদের জাতীয় অর্থনীতি চাঙা না হয় ততদিন
৫ম পৃষ্টা
--------

তেমন কিছু ভাবা যায়না। এদিকে নানিয়ার চরের বর্তমান অবস্থা ও তোমার অজানা নয়। আমাদের কজমা অফিস ও ঠিক ভাবে চলছে না। কারন নানিয়ার চরের বর্তমান অবস্থা যা দাড়িয়েছে তা বলার নয়। কাজেই অবস্থার প্রেক্ষিতে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া গত্যন্তর নেই। ঐ দিকে যে একটা সংকলন প্রকাশ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল তাও আআপাততঃ মুলতবি। যেহেতু টাকা যোগাড় করাটা এত সহজ নয়।

                    যাক তোমার কবিতার খাতাটি আমার হাতে আছে। বর্তমানে আমাদের ২য় সাময়িক পরীক্ষা চলছে। তাই তোমার কবিতা গুলি দেখার সময় পাচ্ছি না। কয়েক দিন পর অর্থাৎ পরীক্ষা শেষ হলে পরে তোমার খাতাটি অবশ্যই দেখবো। আবারও স্নেহাশীষ।

ইতি
তোরই আনন্দ দা
১৪/৯/৮৯
___________

শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৬

কঠিন চীবর দানর গান

বেক্কুনোরে প্রবারণা পুন্নিমার মৈত্রীময় শুভেচ্ছা। আ আগামী একমাস কঠিন চীবর দানর যা পুণ্য থোবে পারং সিয়েনি বেক পরান্ বলারে ভাক দিনেই ইক্কো..........

কঠিন চীবর দানর গীত
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷

প্রবারণা পুন্নিমা লামি
     এল' চীবর দান।
শুরু অল' ধর্ম বিঝু,
     ডাঙর এ মাধান।

বৌদ্ধ জাদর হুজির মাস,
      কঠিন চীবর দান।
জীবো হুলোর পূণ্য লবার,
     দোল এ মাধান।

মনত জুবি শীল, ভাবনা,
     আধত লোইনে ত্যেগ।
মুজুঙোঁত রাগেই ভুক্তি, শ্রদ্ধা,
     এগামনে ব্যেক।

চাগে জধায় ভাগে জুগে,
     গল্লে চীবর দান।
নিজে বাদেও জ্ঞেদি হুলোত,
     সে পূণ্যআনি পান।

এচ্ছেই শূণ্য, যেবং শূণ্য,
     লগে যেব' পাপ আ পূণ্য।
এজ' বেগে দান গুরিয়োই,
     জিংহানি ওক ধন্য ধন্য।।।
-----------------------
১৫/১০/২০১৬

শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৬

টেঙাঁ (ঘুষ)

"টেঙাঁ" (ঘুষ)
------

আমিজে গজ্ গজ্!
উঠ্ উঠ্, বস্ বস্!
টেঙাঁ নেই? চায়ুরী!
চে থাক্ আঃ গুরি!
হধাত্ নেই রস্ ভস্!

টেঙাঁ দিলে টস্ টস্।
মাত্ পেবে সজ্ মজ্!
টানি দিই চেয়ারান্,
হায়হুরে বস্ বস্!!!
হলে হধা, অজেঅজ্!
----------------
০৮/১০/২০১৬ইং